বীরসিংহ গ্রামে ২০৪ তম পণ্ডিত ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্ম জয়ন্তী পালিত হল

আমার ঘাটাল

বাংলা ক্যালেন্ডার মতে ১২ই আশ্বিন পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০৪ তম জন্মজয়ন্তী পালিত হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সহযোগিতায়।
বিদ্যাসাগরের জন্মস্থান বীরসিংহ গ্রামে সকাল থেকে এই অনুষ্ঠান শুরু হয়।
নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি হলেও উৎসাহের ঘাটতি ছিল না।
প্রভাতফেরি এবং বিদ্যাসাগরের আবক্ষ মূর্তিকে মাল্যদান এর মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান।
ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদরী, এস পি ধৃতিমান সরকার, ঘাটাল মহকুমার মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস, ঘাটাল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অগ্নিশ্বর চৌধুরী, ঘাটাল ব্লকের বিডিও সঞ্জীব দাস, ঘরের পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি বিকাশ কর সহ অন্যান্য আধিকারিক এবং ঘাটাল মহাকুমার পৌরসভার পৌর পিতারা পঞ্চায়েত সদস্য এবং কর্মাধ্যক্ষরা।
জেলায় বাল্যবিবাহ পুরোপুরি বন্ধ করার কথা বলেন জেলা শাসক। তিনি মাত্র শক্তির কাছে আহ্বান জানান তারা যেন এগিয়ে আসেন যাতে একটিও বাল্যবিবাহ না হয়।
বিএস ডি এর মাধ্যমে বীর সিংহ র বিভিন্ন উন্নয়নের তথ্য তুলে ধরেন জেলা শাসক।
বিদ্যাসাগরের দর্শন এবং বিভিন্ন কর্মকান্ডের কথা বলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার এসপি। তিনি পূর্ণেন্দু পত্রীর লেখা এক যে ছিল বিদ্যাসাগর কবিতা পাঠের মাধ্যমে বিদ্যাসাগরের ফিলোসফি তথা দর্শন তুলে ধরেন।
ঘাটাল মহাকুমার মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
এদিন বৃক্ষরোপণ, রক্তদান শিবির, চক্ষু ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির, নর নারায়ন সেবা আয়োজিত হয়।
এছাড়াও দুস্থদের বস্ত্র দান, মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।
ব্রেভ চাইল্ড অর্থাৎ সাহসিকতা যেমন নাবালিকা অবস্থায় নিজের বিয়ে নিজে আটকানোর জন্য পুরস্কৃত করা হয়। সেরা সহায়ক গোষ্ঠীকেও পুরস্কৃত করা হয়।

Ghatal News