বীরসিংহ গ্রামে ৬৩ জন স্বাক্ষর হলেন

মেদিনীপুর- ঝাড়গ্রাম

ঘাটাল নিউজ ডেস্ক ঃ

বীরসিংহ গ্রামে ৬৩ জন স্বাক্ষর হলেন

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের অাগেই বিদ্যাসাগরের জন্মস্থানে ৬৩ জন স্বাক্ষর হলেন

৮ই সেপ্টেম্বর ২০২১, আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। ১৯৬৬ সালে ইউনেস্কোর তত্ত্বাবধানে সাক্ষরতা অভিযান চালু হয়েছিল।
সারা পৃথিবী জুড়ে এই অভিযানের মাধ্যমে মানুষজনকে শিক্ষার আলোকবর্তিকা দেখানোর পথ চলা শুরু হয়েছিল।
সাক্ষরতা দিবসের এই বছরের থিম হল ’লিটারিসি ফর হিউমেন-সেন্টারড রিকোভারি: ন্যারোয়িং দ্যা ডিজিটাল ডিভাইড’।
আমাদের ঘাটাল মহকুমাতে ২০০ বছর আগে বীরসিংহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
যার সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছে সাক্ষরতা অভিযান এবং আন্দোলন।
তিনি অনুভব করেছিলেন মানুষকে শিক্ষার আলো না দেখালে সমাজের কুসংস্কার দূর করা সম্ভব হবে না।
বর্ণপরিচয় এর স্রষ্টা বিদ্যাসাগর মহাশয় এর দেখানো পথ ধরে আমরা এগিয়ে চলেছি এবং এই পথ এখনও প্রাসঙ্গিক এবং ভবিষ্যতে সব দিন এর প্রাসঙ্গিকতা থাকবে।
ঐতিহাসিক অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলা স্বাধীনতা আন্দোলনের যেমন পীঠস্থান তেমনি শিক্ষার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা তে দেখেছি এই জেলাকে।
২০১৯ সালে বীরসিংহ গ্রামে ৬৩ জন গ্রামবাসী নিরক্ষর ছিলেন। জেলাশাসক রেশমি কমল এর উদ্যোগে এবং স্থানীয় বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সহায়তায় ওই ৬৩ জন গ্রামবাসী স্বাক্ষর হয়েছেন।
ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস সাক্ষরতা দিবসের প্রাক্কালে তাঁর ব্যস্ততার মাঝে কিছুটা সময়
বীরসিংহ গ্রামে ওদের সাথে কথা বলেন।
মহকুমা শাসক আবেদন করেছেন, আমরা প্রত্যেকে যদি একটু সময় নিয়ে আমাদের চারিপাশে কয়েকজনকে শিক্ষার আলো দেখাতে পারি তাহলে একদিন আমাদের সমাজ শিক্ষার আলোয় উজ্জ্বল হবে।
তিনি আহ্বান জানিয়েছেন সাক্ষরতা দিবস থেকে এই প্রয়াস নিতে হবে এবং প্রত্যেকের সম্মিলিত চেষ্টাতে নিরক্ষরমুক্ত দেশ গড়ার আবেদন করেছেন তিনি।
একটি জাতির উন্নতি করতে হলে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে শিক্ষার আলো দেখাতেই হবে।
এই সত্যটি অনুভব করেছিলেন পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। পাশাপাশি তিনি মহিলাদের শিক্ষার বিষয়টিতে সারা দেশের মধ্যে নজির সৃষ্টি করেছিলেন।
শিক্ষার আলো পারে সমাজের অন্ধকার দূর করতে কারণ শিক্ষা আনে চেতনা।
বিদ্যাসাগর মহাশয় এর ২০২ তম জন্ম দিবসে আসুন আমরা অঙ্গীকার করি, সমাজের আঁধার দূর করে আমরা প্রত্যেকে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার প্রয়াস নেব।

Ghatal News