এদিন উদ্বোধনের পর মুখ্যমন্ত্রী এই এলাকার সৌন্দর্য্যায়ন ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে নতুন করে এখানে একটি স্পেশাল পুলিশ থানা ও স্পেশাল পোস্ট তৈরি করে এসডিও নিযুক্ত করার নির্দেশ দেন মুখ্য সচীবকে। তার বক্তব্য বড়ো কোন জিনিস গড়ে তুলতে গেলে এই সব বিষয়গুলিকে নজর দিতে হবে আগে। পাশাপাশি এদিনও তিনি ফের জমি মাফিয়া চক্র নিয়ে সরব হলেন। তার বক্তব্য, এই পর্যটন কেন্দ্র উদ্বোধনের পরই বেশ কিছু জমি মাফিয়া ওঁত পেতে থাকবে যে, এখানকার জমি দখল করে তাতে অবৈধ নির্মান করে এখানকার পরিবেশ নষ্ঠ করার। তাই আগেভাগেই সাবধান করলেন তার আধিকারকদের। আর এর পরেও যদি কোন জমি মাফিয়া দখলদারি করে এবং তাকে সাহায্যে যদি কোন পুলিশ কর্মী বা তার দলের কোন লোক বা অন্য কেউ যুক্ত থাকে তাদেরকেও রেয়াত করবে না বলে স্পষ্টই জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই কারণে আগে থেকেই এখানকার বর্তমান অবস্থানের ভিডিও ফুটেজ তুলে তা সংরক্ষণ করে রাখার নির্দেশ দেন পুলিশ কমিশনারকে। যাতে কোন রকম অবৈধ দখলদারি হলে তা প্রমাণ পাওয়া যায় পরে। সেই মত স্থানীয় নাগরিক থেকে শুরু করে স্থানীয় মৎসজীবী, দোকানদার, চা বাগানের মালিক, শ্রমিক সকলের কাছে তিনি অনুরোধ করেন যাতে এই পর্যটন কেন্দ্রের পরিবেশ বজায় রাখতে তারাও এগিয়ে আসেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এই পর্যটন কেন্দ্রকে কেন্দ্র করে আগামী দিনে আরও একাধিক পরিকল্পনা রয়েছে তার। পাখি, হাতি, বন্যপ্রানী, সাইকেল, ট্রেন সহ পর্যটনের একাধিক রোমহর্ষক প্রকল্প তৈরি করা হবে এখানে বলে জানান তিনি। সেইমত প্রাথমিক পর্যায়ে স্থানীয় ২৫জন প্রশিক্ষিত মাঝিদের জলধারা প্রকল্পের আওতায় নতুন অত্যাধুনিক বোট দেবার নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি গোটা রাজ্যের অন্যান্য বিমান বন্দরের মত কলকাতা বিমান বন্দরের সাথে এই পর্যটন কেন্দ্রকে যুক্ত করতে আগামী দিনে এখানেও একটি বিমান বন্দর করার পরিকল্পনা রয়েছে তার। যদিও ইতিমধ্যেই এখানে একটি হেলিপ্যাড গ্রাউন্ড তৈরি করা হয়েছে। তার বক্তব্য গোটা রাজ্য, দেশ তথা গোটা বিশ্বের পর্যটকদের আকর্ষিত করতে এই মেগা হাবটিকে আরও সাজানো হবে। সেইমত এখানে একটি বিশ্ব বাংলার স্টল, দুই একর জমির ওপর স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য গ্রামীন হাট, পাঁচ তারা হোটেল, রিসর্ট, নতুন নতুন রুটে বাস সার্ভিস সহ এই ভোরের আলো পর্যটন কেন্দ্রকে ঘিরে একাধিক নতুন নতুন পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি এদিন তিনি এও সচেতন করে দেন যে, পর্যটক আসলে ব্যবসা আসবে, কর্মসংস্থান হবে, এলাকার উন্নতি হবে তাই কোন পর্যটককে যেন কোন রকম অসুবিধার মধ্যে পরতে না হয়। তাদের সাহায্যে সবসময় এগিয়ে যেতে হবে। তাহলেই সার্বিক উন্নতি সম্ভব বলে মত প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এদিন এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব, রবীন্দ্র নাথ ঘোষ, অরুপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেন, সৌরভ চক্রবর্তী সহ মুখ্য সচীব ও অন্যান্য অাধিকারিক ও রাজ্যের একাধিক শিল্পপতিরা।