স্কুলে শিক্ষক নেই, ছাত্র হাজির। বিক্ষোভ অভিভাবকদের

আমার ঘাটাল মেদিনীপুর- ঝাড়গ্রাম

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক না আসায় এলাকাবাসীর বিক্ষোভ স্কুলে। ঘটনাটি চন্দ্রকোনা এক নম্বর ব্লকের ঘোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।এই বিদ্যালয়ে দুজন শিক্ষক আজ একজনও স্কুলে আসেনি বলে অভিযোগ।ছাত্রছাত্রী সহ মিডডে মিলের রাঁধুনি সকলে স্কুলে উপস্থিত হলেও কোনও শিক্ষক এখনও পর্যন্ত স্কুলে আসেনি। এরকম ঘটনা প্রায়শই ঘটে এই স্কুলে এমনটাই অবিভাবক থেকে এলাকাবাসীর অভিযোগ।তারাই খবর পেয়ে স্কুলে আসলে কোনও শিক্ষক দেখতে না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং স্কুলেই বিক্ষোভ দেখায়। ঘটনার খবর পেয়ে স্কুলে যান ব্লকের স্কুল ইন্সপেক্টর কৌশিক ঘোষ।তাকে ঘিরেও ক্ষোভ দেখায় এলাকাবাসী। তিনি নিজে স্কুল চালু করতে চাইলে আপত্তি জানায় বিক্ষোভকারীরা। তাদের দাবী স্কুলের শিক্ষক সন্দীপ রায় অনিয়মিত স্কুলে আসে এবং ছাত্রছাত্রীদের মারধর করে।তাকে এই স্কুল থেকে ট্রান্সফার করতে হবে।আপাতত: স্কুলে তালা দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে গ্রামবাসীরা, তবে স্কুল ইন্সপেক্টর কি সিদ্ধান্ত নেয় তার উপর স্কুল চালু হবে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। স্কুল ইন্সপেক্টর কৌশিক ঘোষ জানিয়েছেন, এই ঘটনায় তিনিও লজ্জিত শিক্ষক না আসায়। তিনি বিষয়টি ডিপিএসসিতে জানাবেন এবং ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে সবদিক খতিয়ে। এভাবে চলতে পারেনা।বিক্ষোভকারীদের মধ্যে পিযুষ ঘোষ বলেন, প্রধান শিক্ষক রাজীব ব্যানার্জী খুবই ভালো মানুষ ওনার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। উনি ছুটিতে আছেন কিন্তু আর এক শিক্ষক সন্দীপ রায় পাশের গ্রাম জাড়াতেই বাড়ি উনি নিজ মর্জিমতো স্কুলে আসেন এবং অাচার আচরনও ঠিক নয়। প্রায়শই ছেলেমেয়েদের বিনা কারনে মারধর করেন।স্কুলে যখনতখন আসেন। এভাবে তো আর চলতে পারেনা। আজকে আমরা জানতে পারি ছেলেমেয়ে থেকে রাঁধুনি সকলেই আছেন কিন্তু কোনও শিক্ষক নেই। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে নয়তো আমরা স্কুলে তালা মেরে দেবো।ঘটনায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয় স্কুলে।পড়ার বদলে মিডডে মিলের রান্না খেয়েই আপাতত বাড়ি ফিরতে হবে খুদে পড়ুয়াদের।

Ghatal News

Leave a Reply