গৃহবধুকে গলায় দড়ি দিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি চন্দ্রকোনা থানার পাইকপাড়া গ্রামের। মৃতার নাম রীনা দোলই(২৬)। ওই গ্রামের স্বপন দোলইয়ের সাথে বছর দশেক আগে বিয়ে হয় কেশপুর থানার অমৃতপুর গ্রামের বাসিন্দা অসীত কারকের মেয়ের সাথে বিয়ে হয়।মৃতার ৫ বছরের একটি ছেলে ও ৭ বছরের একটি মেয়ে আছে।মেয়ের বাড়ির তরফে মৃতার ভাই অরুপ কারক এই ঘটনায় খুনের অভিযোত থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ক্ষীরপাই ফাঁড়ির পুলিশ। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক মৃতের স্বামী স্বপন দোলই,শ্বশুর নেপাল দোলই এবং শ্বাশুড়ি চম্পা দোলই।মৃতের বাপের বাড়ির অভিযোগ,তাদের মেয়েকে গলায় দড়ি দিয়ে মেরে ফেলেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বিয়ের পর থেকেই অশান্তি হতো মৃতের শ্বশুরবাড়িতে। প্রায়শই শ্বাশুড়ির সঙ্গে অশান্তি হতো মৃত রীনা দোলই এর।মারধরও করা হতো বলে অভিযোগ তুলেছে।জানাযায়,আজ সকাল ৯ টা নাগাদ প্রতিবেশীদের থেকে ফোনে জানতে পারে মেয়ের বাপের বাড়ি তাদের মেয়ে মারা গেছে বলে। তড়ি ঘড়ি বাপের বাড়ির লোকজন মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে এসে দেখেন মৃত অবস্থায় তাদের মেয়ে মেঝেতে পড়ে আছে। গলায় ও গালে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়েছেন বলে জানান মেয়ের বাড়ির লোকজন। ঘটনায় মেয়ের শ্বশুরবাড়ির কাউকে দেখতে না পেয়ে ক্ষীপ্ত হয়ে উঠে মেয়ের বাড়ির লোকজন। ভাঙ্গচুর করা হয় মৃতের শ্বশুরবাড়িতে।ঘটনায় গোটা গ্রাম থমথমে।অভিযুক্ত জামাই,শ্বশুর,শ্বাশুড়ি সহ সকলের কঠর শাস্তির দাবী জানিয়েছে মেয়ের বাড়ির লোকজন।যদিও মৃত্যুর কারন ময়নাতদন্তের পরই জানাযাবে এমনটাই পুলিশের বক্তব্য।