বনধের প্রভাব অাংশিক মেদিনীপুরে

মেদিনীপুর- ঝাড়গ্রাম

ঘাটাল নিউজ ওয়েব ডেস্ক: ২৬ সেপ্টেম্বর :
ইসলামপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি ডাকা ১২ ঘন্টা বাংলা বনধে কার্যতই আতঙ্কের চেহারা নিল রাজ্যের একাধিক জেলায়। বিজেপি সন্ত্রাসের হাত থেকে বাদ যায়নি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাও। সকাল থেকেই বিজেপির বাইক বাহিনী দাপিয়ে বেড়ায় শহর জুড়ে। জেলা সদর শহর মেদিনীপুরে বিজেপির দাদাগিরি চরমে উঠতে দেখা গিয়েছে এদিন। সাত সকালেই NBSTC, SBSTC র সরকারি বাস চালানোয় ভাংচুর করা হয় সেইসব বাসগুলিতে। বিজেপির আতঙ্কের ফলে এদিন সরকারি বাসের চালককেও হেলমেট পরে বাস চালাতে হয়েছে। বেলা বাড়ার সাথে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের দাদাগিরিও বাড়তে থাকে। এদিন বনধ না মানায় একাধিক দোকানপাটে ভাংচুর চালায় তারা। অভিযোগ, বেশকিছু জায়গায় পুলিশের কাছেই দোকান ভাংচুর করা বিজেপি কর্মীরা। সময় অতিক্রমের সাথে সাথে কার্যতই ভয়াবহ পরিস্থিতির আকার নেয় গোটা জেলা। মেদিনীপুর শহরের পঞ্চুরচকে একটি সুপার মার্কেটে ১০ জন বিজেপি কর্মী এসে জোর করে শপিং মলটিকে বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ। পরে তৃণমূল কর্মীরা এসে নিরাপত্তার আশ্বাস দিলে সেই সপিং মল খোলা হয়। বনধের সমর্থনে জেলার যেখানে যেখানে পিকেটিং করা হচ্ছে বা পথ অবরোধ করেছে বিজেপি সমর্থকরা। সেখানে পুলিশি হস্তক্ষেপে সচল করার চেষ্টা করা হচ্ছে যানবাহন। যদিও ইতিমধ্যে চন্দ্রকোনা রোডে রেল অবরোধের জেরে আটকে গেছে শিরোমনি প্যাসেঞ্জার। মেদিনীপুর শহরের সরকারি বাস ভাংচুর করে SBSTC র ডিপোতে তালা লাগিয়ে দেওয়ায় সরকারি বাস স্ট্যান্ড থেকে বেরোচ্ছেনা। মেদিনীপুর সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ডে সরকারি ও বেসরকারি বাস লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। বিজেপির বন্ধ ও অন্যদিকে বনধ ব্যর্থ করতে সরকারি দলের প্রতিবাদ ও প্রশাসনিক তৎপরতা দুই মিলিয়ে আজকের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ যে হবেনা তা বলাই বাহুল্য। মেদিনীপুর শহরের গির্জার কাছে একটি সরকারি বাস SBSTC র ডিপো থেকে বেরিয়ে বাস স্ট্যান্ডের দিকে আসার সময় সিপাই বাজারের কাছে বাসে ভাঙচুর চালায় বনধ সমর্থকরা। অন্যদিকে মেদিনীপুর শহরে ঢোকার মুখে ধরম্মার কাছে জাতীয় সড়কের উপর টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানায় বিজেপি সমর্থকরা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শহরে বন্ধের সমর্থনে বিজেপি সমর্থকরা এক রকম তাণ্ডব চালায়। মিছিল মেদিনীপুর শহরের বটতলাচকে আসলে বাধা দেয় পুলিশ। সেখানেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় বনধ সমর্থকদের। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে। পরে গ্রেপ্তার করা বিজেপির জেলা সভাপতি শমীত দাস, শহর সভাপতি অরূপ দাস সহ প্রায় ৮০ জন বিজেপি কর্মী সমর্থকদের।
অন্যদিকে দলীয় নেতৃত্বকে গ্রেপ্তার করার প্রতিবাদে কোতওয়ালী থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। অন্যদিকে ঘাটাল মহকুমায় দুএকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া বনধ ব্যার্থ বলা যায়। সকালে ঘাটাল সেন্ট্রালে তৃণমূল বিজেপি কর্মিদের মিছিল কে নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তৃণমূল জোর করে বিজেপির অবরোধকে হঠিয়ে দেয়, লাঠির অাঘাতে এক বিজেপি কর্মির মাথা ফাটে। এরপর ঘাটালে কোন অপ্রিতিকর পরিস্থিতি তৈরী হয়নি। স্কুল কলেজ অফিস স্বাভাবিক নিয়মে হয়েছে। হাতে গোনা দুএকটি বাস পথে নামে। যাত্রী কম ছিল, অাতঙ্কে বাড়ি থেকে কেউ বেরোয়নি। বাস সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ডে। চন্দ্রকোনার জাড়া স্কুলে অবরোধ তুলতে পুলিশকে লাঠি চার্জ করতে হয়। দাসপুরের গৌরা, চাঁইপাটেও অবরোধ করে বিজেপি কর্মিরা। পুলিশ অবরোধ তুলে দেয়।

Ghatal News

Leave a Reply