পাড়ার মেয়েকে বিয়ে করার অপরাধে একঘরে ছেলের ঘরের পরিবার। একঘরে, বয়কট এসব গ্রামে শোনা যেত এখন এসব পৌরসভার ওয়ার্ডেই ঘটছে। অবাক অাইনজীবি থেকে শিক্ষক সমাজ। এই খবর ঘাটাল নিউজ ডট কম পোর্টালে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সোসাল মিডিয়াতে খবরটি ভাইরাল হয়ে যায়। নিন্দার ঝড় উঠে। এরপর অবশেষে ঘাটাল থানার পুলিশ ছেলেটির বাড়িতে যায়। পুরো বিষয়টি শোনেন এবং থানায় ডেকে পরিবারটিকে একঘরে করার সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয়েছেন। ঘটনার সূত্রপাত ঘাটাল পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা চন্দন দোলই বিয়ে করেন ঐ ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুপর্ণা বাগ-কে। পাড়ার মেয়েকে কেন বিয়ে করবে গ্রামের মোড়লরা মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেয় ঐ পরিবারকে একঘরে করে দেওয়ার। গ্রামবাসীদের হুমকি দেওয়া হয় যারা ওদের সাথে কথা বলবে তাদেরই একঘরে করে দেওয়া হবে। মেয়ে পালিয়ে বিয়ে করেছিল বলে সুপর্ণার বাবা থানায় অভিযোগ জানায়, কিন্তু ছেলে মেয়ে সাবালক হওয়ার জন্য কোনো মামলা রুজু হয়নি থানায়। দেশ কমিটি ও গ্রামের মোড়লরা সালিশি সভা করে পাড়ার মেয়েকে বিয়ে করায় ছেলের পরিবারটি থেকে বাড়ির ব্রাহ্মনকে বয়কট করা হয়। গ্রাম কমিটি অারও নিধান দেয় চন্দনের বাবার অজিত দোলই এর একটি চায়ের দোকান আছে গ্রামবাসীরা সমস্ত খরিদ্দারদের নির্দেশ দেন তার দোকানে যাওয়া চলবে না। এর ফলে অার্থিক সংকটে পড়ে পরিবারটি। গ্রামের মানুষের থেকে পাওনা টাকা পাছে না এবং দোকানে বিক্রি বাটা না হওয়াই সংকটে কাটতে থাকে পরিবারটির। তারপর অজিত দোলই বাধ্য হয়ে সুরাহা পাওয়ার লক্ষ্যে ঘাটাল থানা, পৌরসভা, মহকুমাশাসক, পুলিশ সুপারকে লিখিত অাবেদন করে সুরাহা পাওয়ার অাশায়। কিন্তু প্রায় এক মাস হয়ে গেলেও কোন সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ করেন অজিত বাবু। গ্রামবাসীরাও জানান, পাড়ার মেয়েকে বিয়ে করায় একঘরে রাখার নির্দেশ দিয়েছে গ্রাম কমিটি। ঘাটাল নিউজ ডট কমে খবর প্রকাশিত হবার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সমস্যা সমাধানে তড়িঘড়ি ঘাটাল থানার অফিসার গ্রাম থেকে একঘরে করে রাখার পরিবারটির বাড়িতে যায়। অজিত দোলইকে জানিয়ে অাসে থানায় ডাকলে তিনি যাবেন কিনা। অজিত দোলই জানিয়ে দেন ফোন করলে বা কখন যেতে হবে জানালে অবশ্যই যাবেন বলে পুলিশকে জানিয়ে দেন।