ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রুপায়নের তোড় জোড় শুরু রাজ্য সেচ দপ্তরের।
ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রাজ্য সরকার রূপায়িত করবে, লোকসভা নির্বাচনের আগে বলেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সাংসদ হলে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রুপায়ন এর কাজ শীঘ্রই শুরু হবে কথা দিয়েছিলেন দীপক অধিকারী তথা দেব।
নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার এক সপ্তাহ পরেই ,১২ ই জুন সেচ মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ঘাটালের তৃতীয় বারের সাংসদ দেব।
সেই বৈঠকেই ঠিক হয়েছিল আপাতত ঘাটালে বন্যার জলের চাপ কমাতে দাসপুরের দুই সেচ খাল চন্দেশ্বর ও শোলাটোপা খালকে গভীর করে খনন করা হবে।
ওই বৈঠকের ১০ দিনের মাথায়, সেচ দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা আজ শনিবার এসেছিলেন দাসপুরে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের বিভিন্ন এলাকা খতিয়ে দেখলেন তারা।
ওই বৈঠকে প্রস্তাব ছিল দাসপুরের দুটি সেচ খালকে শিলাবতী ও কংসাবতীর সাথে যুক্ত করে জলের চাপ কমানো।
সেই প্রস্তাব খতিয়ে দেখতে দাসপুরে এসেছিলেন সেচ দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। এছাড়াও সঙ্গে ছিলেন ঘাটাল দাসপুরের একাধিক শাসকদলের নেতৃত্ব।
ছিলেন জেলা সেচ দপ্তরের একাধিক আধিকারিকেরা । প্রতিনিধি দলটি দাসপুরের চন্দ্রেশ্বর খালের মুখ থেকে দাসপুরের সুরতপুর পর্যন্ত এলাকায় খতিয়ে দেখেন তারা।
প্রায় ৫ কিলোমিটার প্রস্তাবিত খাল কাটাই এর বিষয়টি খতিয়ে দেখলেন প্রতিনিধি দল।
লোকসভা ভোটে প্রধান ইসু ছিল ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান।
এই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কে হাতিয়ার করেছিল তৃণমূল থেকে বিরোধীরা।
লোকসভা ভোটে ঘাটালে দেব জেতার পরেই, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণের শুরু হলো তোড়জোড়।
ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান এর কাজ কিভাবে এবং কবে শেষ হয় তা দেখার জন্য অধীর আগ্রহে ঘাটালের বাসিন্দারা।