সবুজ ঘাটাল।
১৫ লক্ষ বৃক্ষরোপণ শুরু হল ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র জুড়ে, যা দেশের মধ্যে প্রথম।
লোকসভা নির্বাচনে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তৃতীয়বারের সাংসদ দীপক অধিকারী তথা দেব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি যতগুলি ভোট পাবেন, ততগুলি বৃক্ষরোপণ করা হবে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র জুড়ে।
এই সীমারেখার মধ্যে না থেকে তিনি আরো একধাপ এগিয়ে এই কর্মসূচি শুরু করলেন।
ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে সব রাজনৈতিক দল যেমন তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি সিপিএম সবাই যে ভোট পেয়েছে ততগুলি বৃক্ষরোপণ করা হবে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র জুড়ে।
এর মধ্যে অবশ্য নোটা অর্থাৎ যারা কোন দলকে ভোট দেননি, সেই ভোট ধরা হয়নি।
দেব এই কর্মসূচি শুরু করলেন সবং এর উচিতপুর থেকে।
রবিবার সাত টি বিধানসভা কেন্দ্র জুড়ে এই কর্মসূচি শুরু হয় দেব এর উদ্যোগে।
লোকসভা নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন দেব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বৃক্ষরোপনের।
সেই প্রতিশ্রুতি রাখার কাজ শুরু করলেন তিনি।
শুধু নিজের পাওয়া ভোট নয়, সব রাজনৈতিক দলের একত্রিত ভোট সংখ্যার সমান গাছ লাগানো হবে বলে তিনি জানান।
এই সংখ্যাটা প্রায় ১৫ লক্ষ র কাছাকাছি।
গাছের মধ্যে শাল, শিশু, সেগুন আম, জাম, গাছ আছে।
এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির মধ্যে রাজনীতি নেই বলে তিনি বলেন।
অর্থাৎ ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র জুড়ে প্রায় ১৫ লক্ষ বৃক্ষরোপণ হবে।
সেই কর্মসূচি শুরু হল সবং বিধানসভা কেন্দ্র থেকে।
ছিলেন দেব, মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।
রবিবার এই কর্মসূচির প্রথম দিনেই ১০ হাজার গাছ লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা আছে।
শুধু গাছ লাগানোই নয় গাছগুলি রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
দলের কর্মী পঞ্চায়েত কর্মীরা গাছগুলির রক্ষণাবেক্ষণ করবেন।
পাশাপাশি তিনি বলেন ৩০ থেকে ৪০ ভাগ এমপি যদি এই উদ্যোগ নেন তাহলে পরিবেশ দূষণ রোধ হবে এবং গ্লোবাল ওয়ার্মিং অনেকটা কমবে।
উল্লেখ্য ভারতবর্ষের কোনো এমপি এই ধরনের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি আগে কখনো নেননি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি র শপথ মেয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের যে পাওনা আছে সেই অর্থ যেন দেয়া হয়। গত ১০ বছর যেভাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করা হয়েছে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে তা বন্ধ হলে ভালো, মানুষ যেন স্বাধীন ভাবে থাকতে পারে, দেশ যেন সুষ্ঠুভাবে চলে।