দাসপুরে গেড়িবুড়ি মেলা দেখতে, উপচে পড়ছে ভীড়।

মেদিনীপুর- ঝাড়গ্রাম

#ঘাটাল নিউজ,ওয়েব ডেস্ক, ১৭ সেপ্টেম্বর : দাসপুর থানার বলিহারপুরে ভাদ্র মাসের সংক্রান্তিতে ধর্মরাজের মেলা বা গেড়িবুড়ির মেলা বসে। প্রায় ৩৫০ বছরের পুরানো মেলা। মেলা চলে ২ দিন ধরে। মেলার বিশেষ অাকর্ষন মাছ ধরার জাল, ঘুনি, মাদুর, ঠেকা, ঝড়া, লোহার জিনিস পত্র, গাছের চারা কিনতে দূর দূরান্ত থেকে হাজির হয়। জানা যায়, ১১৬৪ সালে বলিহারপুরে ধর্মরাজ মন্দিরটির প্রতিষ্ঠা হয়। গোবিন্দ পন্ডিত, সুরেন্দ্র নাথ পন্ডিত, ধর্মদাস পন্ডিতের বংশধর বর্তমানে জয়দেব বাসুদেব শুকদেব মন্দিরটির পূজা অর্চনা ও রক্ষনা বেক্ষন করে থাকে। গ্রামবাসীদের দাবী মন্দির সংস্কার জরুরি প্রয়োজন।

গেড়িবুড়ি মা কি ভাবে বলিহারপুরে এল। জানা যায়, প্রায় ৩৫০ বছর অাগে পন্ডিত পরিবারের পূর্ব পুরুষকে স্বপ্না দেশ দেয় সিমলার দিঘীতে মা অাছেন। সেইমতো সিমলার দিঘি থেকে ১৮ টি ঠাকুরের মুর্তি তুলে এনে প্রতিষ্ঠা করেন। অাশ্চর্যের বিষয় দেবী দূর্গার মুর্তিটি কালো কালো গেড়ি দ্বারা অাবৃত থাকায় দেবী দূর্গাকে গেড়ি বুড়ি মা হিসেবেও পূজিত হন। এছাড়া ধর্মরাজ, কালী, বিশালাক্ষী, বামদিকে শীতলা, মনসা, জরাসুর, পঞ্চানন, মঙ্গল চন্ডী, কালু রায়, বাঁকুড়া রায়, রঘু রায় এবং অষ্টাদশ শীলা নারায়ন রুপেও পুজিত হয়। গেড়ি বুড়ির মাহাত্ম কি ? এই দেবীকে মানত করে ফুল দিয়ে পূজো দিলে তাঁর মনস কামনা পূর্ন হয় এবং বাচ্চাদের বিছানায় পেছাব, ছুলাতি, হাপানি, মেয়েদের বিভিন্ন রোগের ওষুধ দেওয়া হয় ভাল হতে থাকে তারপর মুখে মুখে ছড়িয়ে গেড়ি বুড়ি ধর্মরাজ ঠাকুরের মাহাত্ম। তাই দূর দূরান্ত থেকে ছুটে অাসেন মানুষজন। বছরের সব সময় দেবী পূজিত হন। মেলা কমিটির সদস্য শান্তি চরন চট্টোপাধ্যায় জানান, ভাদ্র সংক্রান্তিতে বিশেষ মেলা বসে। ২ দিন ধরে মেলা চলে। মেলাতে মাছ ধরার জাল, ঘুনি, লোহার জিনিস এবং গাছের চারা কিনতে ভীড় করে দূর দূরান্তের মানুষ। মন্দিরটির সংস্কারের দাবী তুলেছেন গ্রামের মানুষ থেকে মেলা কমিটির সদস্যরা।

Ghatal News

Leave a Reply