ডাইনি অপবাদে পিটিয়ে খুনে মূল অভিযুক্তরা গ্রেফতার ঃ
ঘটনাটি ঘটে ঘাটালের ঈশ্বরপুর গ্রামে। বেশ কিছুদিন ধরে এলাকায় নাকি গরু, বাছুর,ছাগল এমনকি শিশুরও মৃত্যু হচ্ছিলো। সেকারণে আদিবাসী সম্প্রদায় তাদের একটি পুজোর আয়োজন করেছিল।পুজো চলাকালীন অন্য সম্প্রদায়ের কারো ঢোকার অনুমতি ছিলোনা।সেই পুজোতে শ্যামলী মান্ডি নামে একজন জনগুরু কে ঠাকুর ভর করে। সেই নিদান দেয় গ্রামে ডাইনি আছে,আর তারা হচ্ছে আদরমনি ও তার বৌমারা।এরপর থেকেই আদরমনি ও তার বৌমাদের ওপর চলে অত্যাচার।তাদের কে টাকা দেওয়ার কথাও বলা হয়। কিন্তু টাকা দিতে না পারায় চলে মারধর।সেদিন দুপুর নাগাদ আদরমনি কে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ঘাটাল থানার পুলিশ গিয়ে আদরমনির মৃতদেহ ও আহত বৌমাদের উদ্ধার করে ঘাটাল হাসপাতালে পাঠানো হয়। এসডিপিও কল্যাণ সরকারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়। ঘাটালের বিধায়ক শংকর দোলুই উপস্থিত হয়।জানা গেছে এই ঘটনার পেছনে স্বামী, স্ত্রী কৃষ্ণ মান্ডি ও শ্যামলী মান্ডি ই মূল অভিযুক্ত।তল্লাশি চালিয়ে মূল অভিযুক্তদের আটক করা যায়নি।কিন্তু সন্দেহজনক ৬ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।তাদের মধ্যে ৩ জন মহিলা ও ৩ জন পুরুষ। তাদের ঘাটাল আদলতে নিয়ে যাওয়া হয়।ঘাটাল থানা ৩ জন পুরুষ আসামীকে ৭ দিনের পুলিশি হেপাজতের আবেদন করেন।ঘাটাল আদালতের বিচারপতি ৩ জন পুরুষ আসামীর ৪ দিনের পুলিশি হেপাজত ও ৩ জন মহিলা আসামীর ১৪ দিন জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন। গতকাল ঘাটাল থানা মূল অভিযুক্ত ২ আসামী কৃষ্ণ মান্ডি ও শ্যামলী মান্ডিকে গ্রেফতার করে।আজ তাদের ঘাটাল আদালতে পেশ করা হলে ঘাটাল আদলতের বিচারপতি ৩ দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেন।