প্রয়াত সিপিআই এম পার্টির বর্ষিয়ান নেতা শেখ ইসরাইল

আমার ঘাটাল

সি পি আই এম পার্টির বর্ষিয়ান নেতা শেখ ইসরাইল ১ নভেম্বর তার বাড়ি অমরপুরে সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ তিনি প্রয়াত হন। তার বয়স হয়েছিল ৮৫।শেখ ইসরাইল সি পি আই এম পার্টির জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন এবং রাজ্য কমিটির সদস্য ছিলেন।তার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে আজ সোমবার জেলার সমস্ত সিপিআইএম কার্যালয় পার্টির পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।তার মৃত্যুতে সিপিআইএমর জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য অশোক সাঁতরা বলেন শেখ ইসরাইল এর মৃত্যুতে জেলার বাম আন্দোলনের অপূরণীয় ক্ষতি হলো।
শেখ ইসরাইলএর,জন্ম এক দরিদ্র কৃষক পরিবারে ৯ই মার্চ ১৯৩৮ সালে। বাবা শেখ ইব্রাহিম,মা হাসিনা খাতুন।স্ত্রীর নাম সেলিমা বেগম ।
মেদিনীপুর কলেজ থেকে আই,এ পাশ করার পর বি,এ(অনার্স) ডিগ্রি অর্জন করেন। অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে হোমিওপ্যাথিতে রেজিষ্ট্রেশন পান। মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা ও সুনামের সঙ্গে হোমিও-চিকিৎসক হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন।
১৯৬৯ সালে ‘রাধানগরে জোতদার এবং মহাজনদের বিরুদ্ধে জমি আন্দোলনের মাধ্যমে কৃষক আন্দোলন ‘ এ নেতৃত্ব দান করেন। এর ফলে জোতদার-পুলিশের তরফ থেকে ২৫ টি মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে পড়েন। দীর্ঘদিন তাকে আত্মগোপন করতে হয়। দীর্ঘদিন বাড়ি ছাড়া থাকেন তিনি।
১৯৭০ সালে১০ ই ডিসেম্বর সি,পি,আই(এম) পার্টির সভ্যপদ লাভ করেন। ১৯৭৮ সালে ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হন। ঘাটাল লোকাল কমিটির সম্পাদক ও ১৯৮১ সালে অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলা কমিটির সদস্য হন। এরপর জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য ও পরে রাজ্য কমিটির সদস্যও হন।
জেলা কৃষকসভার সভাপতি ও রাজ্য কার্যকরী কমিটির সদস্য হয়েছিলেন। সাহিত্যজগতে তাঁর অবদান ছিল। তিনি বেশ কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেছিলেন । কবিতা, প্রবন্ধ লিখতেন তিনি।অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার কমিউনিস্ট আন্দোলনের ইতিহাসের তথ্য সংকলন করেছিলেন তিনি।
শেষ জীবনে তিনি বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে পার্টির কাজ করতে পারতেন না। কিন্তু তিনি নিয়মিত খোঁজখবর রাখতেন। তিনি ছিলেন সুবক্তা এবং আপোষহীন মানুষ।

Ghatal News