গুলি চালিয়ে চম্পট দুষ্কতী কাঁথি অাদালতে

মেদিনীপুর- ঝাড়গ্রাম

পুলিসকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে আদালত থেকে চম্পট দিল কাঁথির কুখ্যাত দুষ্কৃতী কর্ণ বেরা। যদিও তিনঘণ্টা পরেই কর্ণকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। কাঁথির ক্যালট্যাক্স মোড়ের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে আত্মগোপন করেছিল কর্ণ। স্থানীয়রা তাকে ঘিরে ধরলে সে আবার গুলি চালাতে শুরু করে। খবর পেয়ে বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কাঁথি থানার পুলিস। বাড়িটিকে ঘিরে ফেলে। বন্দুকের গুলি শেষ বুঝেই পালানোর চেষ্টা করে কর্ণ। তার পা লক্ষ্য করে গুলি চালায় পুলিস। যদিও সে গুলি কর্ণর গায়ে লাগিয়ে। শেষমেষ কর্ণকে গ্রেপ্তার করে কাঁথি থানায় নিয়ে আসা হয়।
বৃহস্পতিবার এই গোলাগুলিকে কেন্দ্র করে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়ায় কাঁথি আদালত চত্বরে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন কাঁথি আদালতের বিচারক, আইনজীবী থেকে বিচারপ্রার্থীরা সকলেই। আদালত চত্বরে এমন ঘটনা রীতিমতো প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দেয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে। জেলবন্দি আসামির হাতে কিভাবে বোমা–বন্দুক এলো?‌ তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। এব্যাপারে মুখে কুলুপ এটেছে পুলিস। একাধিক ডাকাতি এবং কনস্টেবল খুনের আসামি কর্ণ বেরা। বৃহস্পতিবার একটি মামলার শুনানিতে কর্ণকে মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেল থেকে কাঁথি আদালতে নিয়ে আসে পুলিস। প্রিজনভ্যান থেকে নামিয়ে কর্ণ সহ ৪ আসামিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল জিআরও কাস্টডিতে। সেই সময় অভিযুক্ত কর্ণ একটি ব্যাগ থেকে বন্দুক বের করে জিআরও সুশান্ত রানাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এরপর বাকি পুলিসকর্মীরা কর্ণকে ধরতে গেলে সে বোমা ছুঁড়তে ছুঁড়তে পালিয়ে যায়। গুলি ছোড়ায় আহত হন আরও এক পুলিসকর্মী। এরপরই বাইরে থেকে বাইক নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় কর্ণের আরও তিন সহযোগী। পুলিস তাড়া করলে বোমাবাজি শুরু করে তারা। এই ঘটনায় রীতিমতো উত্তাল হয়ে ওঠে কাঁথি শহর। কর্ণের সহযোগীদের ধরার চেষ্টা করছে পুলিস।
৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে মহিষাদলের পুলিস কনস্টেবল নবকুমার হাইতকে গুলি করে খুনের পর নিজের মাথা মুড়িয়ে আত্মগোপন করেছিল কর্ণ। পরে ধরা পড়লেও জেল থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। আবার কর্ণকে নিজের বাড়ি থেকেই গ্রেপ্তার করে পুলিস। বৃহস্পতিবারও আবার পুলিসের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়েছিল কর্ণ। ‌কিন্তু শেষরক্ষা হল না। তিনঘণ্টার মধ্যেই কাঁথি থানার পুলিশের উদ্যোগে গ্রেপ্তার হল কর্ণ। বাকিরা এখনো অধরা।

Ghatal News

Leave a Reply