ঘাটাল নিউজ ডেস্ক, ২৭ অাগস্ট : একদিকে হকারদের ওপর রেল পুলিশের অত্যাচার , একদিকে খড়্গপুরের উন্নয়নে রেলের অসহযোগিতা এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হলো তৃণমূল। মঙ্গলবার দক্ষিণ পূর্ব রেলের খড়্গপুরের ডিআরএম অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করলো তৃণমূল। এদিনের বিক্ষোভ মঞ্চ থেকে রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী হুমকির সুরে বলেন , ‘ রেল যদি শুধরে না যায় তবে রেলের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন জারি রাখবে তৃণমূল। রেল এলাকার কল থেকে কাদা নোংরা জল বেরোয় , মানুষ পানীয় জল পাচ্ছেন না। খড়্গপুরের যুবককদের রেলে চাকরি হচ্ছে না। ‘
রেল যে উন্নয়ন চায় না তা উল্লেখ করে তাঁকে বলতে শোনা যায় , ‘ তৃণমূল পরিচালিত খড়্গপুর পুরসভার মাধ্যমে একগুচ্ছ উন্নয়ন মূলক কাজ করতে মুখ্যমন্ত্রী ইচ্ছুক। কিন্তু রেলের সদিচ্ছা না থাকায় ‘ নো অবজেকশন ‘ দেয় না। ‘ বিজেপির সমালোচনা করে জানান , ‘ বিজেপি মানুষের উন্নয়ন করে না। শুধু মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করে।
খড়গপুর এর সার্বিক উন্নয়নে রেল খড়গপুর পুরসভার সঙ্গে কোনো সহযোগিতা করছে না এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের ছিল শাসকদলের। খড়গপুর পুরসভা যাতে এলাকার উন্নয়নে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় সেই দাবিতে দক্ষিণ পূর্ব রেলের খড়্গপুরের বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজারের কার্যালয়ের সামনে এদিন অবস্থান বিক্ষোভের আয়োজন করে তৃণমূল।
রাজ্যসভার সাংসদ ডাঃ মানস ভুইঁয়া জানান , ‘ রেলের আজকের যা উন্নয়ন বা আধুনিকীকরণ এর যেটুকু হয়েছে মমতা ব্যানার্জি যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন সেই সময়েই হয়েছে। তিনি এখন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাই তাঁর অবদান অস্বীকার করতে পারে না রেল। এটাই বিজেপির সঙ্গে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের পার্থক্য। ‘
এদিনের বিক্ষোভে মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারি জানান , রেলের অনুন্নয়ন ও বাংলার উন্নয়নে রেলের অসহযোগিতা নিয়ে খুব শীঘ্রই কলকাতায় জিএম অফিস ঘেরাও , সেখানে না কাজ হলে দিল্লিতে যন্তর মন্তরে বিক্ষোভ অবস্থান করবেন তিনি। এদিনের ঘেরাও অবস্থানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভূঁইয়া, খড়গপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকার, তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি ।
বিধায়ক দিলীপ ঘোষের ছেড়ে যাওয়া খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচন আসন্ন। এর আগে তৃণমূলের এই কর্মসূচি অনেকটাই রাজনৈতিকভাবে মাইলেজ পাবে এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।